top of page
Search
Writer's picturepsychelogossm

WHAT IS MENTAL HEALTH ..?

আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি, “মানসিক স্বাস্থ্য বলতে কি বুঝায়? এবং এর যত্ন নেওয়া কেন প্রয়োজন??" যদি উত্তর হয় "না" তবে চলুন, আজ এই বিষয়ে জানা যাক।।

এগারো বছর বয়সী ছোট্ট মেঘলা সবেমাত্র ৫ম শ্রেণীতে পড়ে।পড়ালেখার পাশাপাশি ছবি আঁকতে খুব বেশি ভালোবাসে ও।মেঘলার ইচ্ছা, বড় হয়ে আফসানা আপুর মতো সে অনেক বড় শিল্পী হবে।আফসানা আপু থাকে মেঘলাদের পাশের বাসায়।মেঘলা সবসময় দেখে এসেছে আফসানা কোন ছবি আঁকলে তার আব্বু আম্মু তার খুব প্রশংসা করে। তাই সে ঠিক করলো,সে একটি সুন্দর ছবি এঁকে তার আব্বুকে দেখাবে। অতঃপর সে খুব চমৎকার একটি প্রজাপতি এঁকে তার বাবা কে দেখাতে গেলো।সে ভেবেছিলো, তিনি এটা দেখে খুব খুশি হবেন।কিন্তু না, হলো ঠিক উল্টো, মোটেও খুশি হলেন না! এর বদলে একটা বকা দিয়ে বললো,' সামনে না তোমার পরীক্ষা, এখন এগুলো এঁকে কেন সময় নষ্ট করছো?' ছোট্ট মেঘলার খুব মন খারাপ হয়ে গেলো।সে মন ভার করে ছবিটা টেবিলের ওপর রেখে দিয়ে পড়তে বসে গেলো।

উপরে আমরা মেঘলা নামক একটি কাল্পনিক চরিত্র কে নিয়ে কথা বললাম যে ছোটকাল থেকেই আগ্ৰহী ও কৌতুহলী কিন্তু তার বাবার ছোট্ট একটি বকা তার এই আগ্ৰহকে দমিয়ে দিচ্ছে এবং সে হয়তো আত্মবিশ্বাস‌ও হারিয়ে ফেলছে।খুব সহজ ভাবে বলতে গেলে বলা যায়,মেঘলার মানসিক স্বাস্থ্যতে ব্যাঘাত ঘটে।

এখন আসি মূল বক্তব্যে।।

মানসিক স্বাস্থ্য হচ্ছে একজন ব্যক্তির মস্তিষ্কের এমন একটি অবস্থা যা দ্বারা সে কোন কিছুকে অনুভব করে সৃজনশীল বুদ্ধি খাটায় পরিস্থিতি বুঝে বিচার বিবেচনা ও চিন্তাভাবনা করে থাকে। একজন মানসিকভাবে সুস্থ ব্যক্তির আবেগ এবং শারীরিক আচার আচরণ এর মাঝে সন্তোষজনক সামঞ্জস্যতা থাকে এবং যেকোনো জিনিসকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করার সক্ষমতা রাখে। ঠিক তেমনি একজন মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা অসুস্থ মানুষের আচার-আচরণ হয় সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থাৎ নেতিবাচক।

একজন ব্যক্তির যেমন শারীরিক ভাবে সুস্থতার প্রয়োজন রয়েছে সেরকম ভাবে মানসিকভাবে সুস্থতার ও প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে।কারণ শরীর ও মন একে অন্যের সাথে গভীরভাবে জড়িত।

মানসিক স্বাস্থ্য অনেক বিষয়াদির ওপর নির্ভর করতে পারে।একজন মানুষ কিরকম পরিবেশে বড় হচ্ছে,তার ভৌগোলিক অবস্থান, কোন কিছু মানসিক ভাবে গ্রহণ করার সক্ষমতা, তার বয়স,তার লিঙ্গ ইত্যাদি। তাই একজন ব্যক্তি মানসিকভাবে কতটুকু সুস্থ তা এই বিষয়গুলোকে মানদন্ড হিসেবে ব্যবহার করে তবে নিশ্চিত করা যায়।উপরে আমরা মেঘলা নামক একটি কাল্পনিক চরিত্রের গল্প বলছিলাম।মেঘলা আমাদের সমাজের একটি নির্দিষ্ট বয়সের ছেলেমেয়েদের প্রতিনিধিত্ব করে।এই বয়স থেকে একটি ছেলে বা মেয়ের মানসিক ভাবে পরিচর্যা করার প্রয়োজন রয়েছে যাতে করে সে মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে বড় হতে পারে।অবশ্যই সমস্ত বাবা মা-রাই তাদের সন্তানদের ভালো চান তবে কিছু ক্ষেত্রে তাদের সচেতনতার অভাবে কিংবা অন্য কোন সীমাবদ্ধতার কারণে সন্তানদের স্বতঃস্ফূর্ত বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়।অবশ্যই সকল শ্রেণির মানুষদের মানসিক সুস্থতা গুরুত্বপূর্ণ তবে শৈশবকাল হচ্ছে একটি মানুষের গড়ে ওঠার সময়। এই সময়টাকে কিভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তা অনেক বেশি গুরুত্ব রাখে।তাই ছোটকাল থেকে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিশেষ নজর দেয়া আবশ্যক।


0 views0 comments

Recent Posts

See All

Comments


Post: Blog2_Post
bottom of page